July 27, 2012

গ্রুপের ১ম আন অফিসিয়াল গেট টুগেদার প্রোগ্রামে আলোচিত বিষয়সূহের সামারি

সাজ্জাত হোসেনঃ

২৪ তারিখ, ২০১২, শুক্রবার।

[আমি গুছিয়ে কিছু লিখতে পারি না। যে সব বিষয় নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি সেগুলোর মধ্যে যা যা মনে পড়ছে তাই সরাসরি লিখে দিলাম। পরবর্তীতে আরো কিছু মনে পড়লে এডিট করে দিব। এ রকম দায়সাড়া কর্মকান্ডের জন্যে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী]
১) গ্রুপের সদস্য সংখ্যা হিসেব করে উদ্যোগ গ্রহণের চিন্তা করলে চলবে না। অনেক সদস্য মানেই অনেক মত, অনেক পথ এবং যার যার কাজে তার তার ব্যস্ততা ! অতএব, যারা সত্যিকার অর্থেই উদ্যোগতা হতে আগ্রহী তারা সম্মিলিত ভাবে যদি সম্ভব হয় তবে ভালো নয়তো এককভাবে হলেও কোন না কোনো উদ্যোগ শুরু করতে হবে।
এই গ্রুপ এবং গ্রুপের সদস্যগণ তাদেরকে নানান ভাবে সহযোগীতা করতে সর্বদা চেষ্টা করবে।
২) কাজ বা কোনো উদ্যোগ শুরু করতে গিয়ে খুব বেশি আলাপ আলোচনা বা সভা সেমিনার করে সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। গ্রুপের ট্যাগলাইন অনুযায়ী পথে নামতে হবে কেননা "পথে নামলেই কেবল পথ চেনা যায়"।
৩) এই গ্রুপ হবে আমাদের কমিউনিকেশন ডেভলপমেন্ট, ইনফরমেশন শেয়ারিং এবং উদ্যোগতা তৈরীতে সার্বিক সহযোগীতার প্ল্যাটফর্ম।
৪) গ্রুপের পক্ষ থেকে উদ্যোগতা তৈরীর জন্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে এবং এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা হবে গতানুগতিক পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে একেবারে বাস্তব ভিত্তক প্রশিক্ষণ।
৫) প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করবেন দেশের স্বনামধণ্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ এবং উদ্যোগতাগণ। [মুনির হাসান ভাই এটা/উনাদের ম্যানেজ করবেন !]
৬) এই কর্মশালায় একটি ব্যবসা শুরু করা থেকে ব্যবসার যাবতীয় পরিচালনা পদ্ধতি সম্পর্কে বাস্তবিক ধারণা (হাতে কলমে) দেয়া হবে।
৭) গ্রুপ থেকে ফান্ড রাইজিং করতে হলে প্রথমে একটি উপদেষ্টা কমিটি এবং কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে হবে এবং তারপর একটি গ্রহণযোগ্য লিগ্যাল ফরমেট ক্রিয়েট করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে গ্রুপের ক্রিয়েটর এবং এডমিন বা তাদের মনোনিত ব্যক্তিবর্গকেই প্রাথমিক উদ্যোগ নিতে হবে।
৮) গ্রুপ কোনো ফান্ড ক্রিয়েট করতে পারলে প্রথমত তা সম্ভাবনাময় উদ্যোগতাদেরকে ব্যবসা রাইজিং করার জন্যে সহযোগীতামূলক ঋণ হিসেবে প্রদান করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, তারপর যথেষ্ঠ পরিমানে ফান্ড জমা থাকলে এবং বিনিয়োগের কোনো ভালো ক্ষেত্র থাকলে সেখানে বিনিয়োগ করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
৯) মুনির হাসান ভাই আমাদেরকে কিছু একটা শুরু করে দেয়ার জন্যে তাগিদ দেন তবে তা যেন হয় ভেবে চিন্তে; এই বিষয়েও সাবধান করে দেন এবং ব্যবসায় সফল হবার যে কোনো শর্টকাট রাস্তা নাই এই বিষয়টি খুব সহজ ভাষায় তিনি আমাদের বুঝিয়ে দেন। তিনি আরো একটি মজার বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেন আর তা হলো "Successfully Fail Concept" ! এবং গল্পচ্ছলে তিনি আরো কিছু সাধারণ কিন্তু মুনাফাজনক ব্যবসার ধারণা দেন যেমন, অভিজাত এলাকায় নিত্যভোগ্য পণ্য (চাল) সরবারহ, আবর্জনা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ব্যবসা।
১০) আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম, সবাই মিলে একটি উদ্যোগ নেয়ার ব্যপারে প্রাথমিক ভাবে ঐকমত পোষন করেছি। এক্ষেত্রে, "আমরা মধ্যস্বত্ত্বভোগী হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন ধরণের উৎপাদিত এবং সহজলভ্য পণ্যসামগ্রী সরাসরি সংগ্রহ করে তা ঢাকায় শক্তিশালী বিপনন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যথাযথ কাষ্টোমারের কাছে পৌছে দিতে পারি।" এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে সবাইকে চিন্তা ভাবনা করার জন্যে তাগিদ দেয়া হয়েছে। যা পরবর্তী সিটিং এ আরো ফলপ্রসু সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সাহায্য করবে।
১১) উপস্থিত সবার থেকে কিছু বুলেটপ্রুফ বিজনেস আইডিয়া প্রত্যাশা করা হয়েছে। মানে, যার মাথায় যে ধরনেরই আইডিয়া আছে তা গ্রুপে পোষ্ট করার আহবান জানানো হয়েছে।
১২) এছাড়াও আমরা সকলেই আমাদের বর্তমান পেশাগত অবস্থান, অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি।

No comments:

Post a Comment