'সবুজ নগর দেশ, লাল-সবুজের বাংলাদেশ' স্লোগানে আগারগাঁওয়ের বাণিজ্যমেলা মাঠে গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা। এবারের বৃক্ষমেলায় অংশ নিয়েছে ১০০টি স্টল। আয়োজকরা জানান, মেলায় প্রতিদিন বৃক্ষপ্রেমীদের আগমন বাড়ছে। এবার মেলার আকর্ষণ অনেকটা বাড়িয়েছে 'কিউ জে' নামের মিষ্টি স্বাদের থাইল্যান্ডের আমগাছ। এর একটি বড় আমের ওজন প্রায় দুই কেজি। পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী এর মধ্যেই এটি বরিশাল নার্সারি থেকে ৮০ হাজার টাকায় ফলসহ 'কিউ জে' আমগাছটি কিনেছেন। তবে বৃক্ষপ্রেমীরা গাছটি এখনো মেলায় গিয়ে দেখতে পাবেন। কারণ ক্রেতার সঙ্গে বিক্রেতার চুক্তি হয়েছিল মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাছটি দর্শকদের দেখার জন্য মেলায় থাকবে। মেলা শেষে ক্রেতা গাছটি নিয়ে যাবেন। তবে ততদিন পর্যন্ত গাছের পাকা ফলগুলো বাড়ি নিয়ে খেতে পারবেন এ শৌখিন ক্রেতা।
বরিশাল নার্সারির বিক্রেতারা জানান, 'কিউ জে'-এর ছোট একটি চারা সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার। এ ছাড়া বৃক্ষমেলায় এবার আরও এসেছে 'মেট্রাস তোতা' নামের থাইল্যান্ডের আরেকটি আমগাছ। দাম ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এসেছে বেত ফলসদৃশ 'সালাক' ফলগাছ। এর দাম ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা।
এবার মেলায় বেশকিছু শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষ এসেছে। উত্তরা ভাই ভাই স্টলের স্বত্বাধিকারী ফারুক জানান, এবার মেলায় তারা নতুন কিছু শোভাবর্ধনকারী গাছ আনছেন। তার মধ্যে রয়েছে ভারতের 'রঙ্গন' ও 'এগাব', এ গাছগুলোর দাম পড়বে প্রতিটি চার হাজার টাকা। তিনি বলেন, ঢাকায় যারা ভাড়াবাড়িতে থাকেন তাদের অনেকেরই বাগান করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারেন না। তারাই মূলত বাসাবাড়ির শোভাবর্ধনে গাছগুলো কিনেন। এর বাইরে বৃক্ষমেলায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রির পাশাপাশি গাছের সার, ওষুধ, টব ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে। কথা হলে বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার মো. দেলোয়ার বলেন, বৃক্ষমেলা ঢাকার সবুজায়নের জন্য একটি আন্দোলন। এখানে এত বেশি গাছের সংগ্রহ যে বৃক্ষপ্রেমীরা গাছ না কিনে থাকতে পারবেন না। আমরা চাই মানুষ বেশি দামের একটি গাছ না কিনে কম দামের অনেকগুলো গাছ কিনুক। এর মাধ্যমে গাছ কেনার প্রতি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
জিন্নাতুন নূর
বনসাইয়ের ব্যাপারে কিছু ইবুকের লিঙ্কঃ
No comments:
Post a Comment