সাজ্জাত হোসেইন
ফাহিম মাশরুর
Founder & CEO (www.bdjobs.com)
অনলাইনে চাকরির যাবতীয় তথ্য সহায়তা নিয়ে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু হয় বিডিজবস ডটকমের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী এই আইডিয়া দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চাকরিপ্রার্থী লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর কাছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠাগুলোও ধীরে ধীরে নির্ভরশীল হয়ে ওঠে এই জবসাইটের ওপর। কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অনেক নামি এজেন্সিও এখন মানবসম্পদ সংগ্রহে দেশি এই ওয়েবসাইটের ওপর নির্ভরশীল। দেশ জুড়ে এখন চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের কাছে বিশ্বস্ত নাম বিডিজবস। প্রতিদিন হাজার হাজার জীবনবৃত্তান্ত জমা হয় সাইটটিতে। পাওয়া যায় এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও। অভিনব এই আইডিয়ার গোড়ার কথা এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শুনতে আমরা হাজির হয়েছিলাম বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুরের কাছে। নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ, অমিত সম্ভাবনার আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার খাতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং আগামী দিনে তার পরিকল্পনার কথা জানান দীর্ঘ আলোচনায়। কথোপকথনের নির্বাচিত অংশ প্রকাশ করা হল। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন রিপোর্টার আবদুল্লাহ আল ইমরান।
অনলাইনে চাকরির যাবতীয় তথ্য সহায়তা নিয়ে ২০০০ সালে যাত্রা শুরু হয় বিডিজবস ডটকমের। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী এই আইডিয়া দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চাকরিপ্রার্থী লাখ লাখ তরুণ-তরুণীর কাছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠাগুলোও ধীরে ধীরে নির্ভরশীল হয়ে ওঠে এই জবসাইটের ওপর। কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অনেক নামি এজেন্সিও এখন মানবসম্পদ সংগ্রহে দেশি এই ওয়েবসাইটের ওপর নির্ভরশীল। দেশ জুড়ে এখন চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিদাতাদের কাছে বিশ্বস্ত নাম বিডিজবস। প্রতিদিন হাজার হাজার জীবনবৃত্তান্ত জমা হয় সাইটটিতে। পাওয়া যায় এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও। অভিনব এই আইডিয়ার গোড়ার কথা এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শুনতে আমরা হাজির হয়েছিলাম বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুরের কাছে। নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ, অমিত সম্ভাবনার আউটসোর্সিং, সফটওয়্যার খাতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং আগামী দিনে তার পরিকল্পনার কথা জানান দীর্ঘ আলোচনায়। কথোপকথনের নির্বাচিত অংশ প্রকাশ করা হল। সাক্ষাত্কার নিয়েছেন রিপোর্টার আবদুল্লাহ আল ইমরান।
সকালের খবর : চাকরি দেওয়া ও পাওয়ার প্রচলিত প্রক্রিয়ায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে বিডিজবস ডটকম। ব্যতিক্রমী এই ভাবনা ও বিডিজবস তৈরির প্রেক্ষাপটটি ব্যাখ্যা করুন।
ফাহিম মাশরুর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং আইবিএ থেকে এমবিএ করার পর ভাবলাম ইন্টারনেটনির্ভর ভিন্ন কিছু করব। ২০০০ সালে ইন্টারনেট ছিল বিশ্ব জুড়ে খুবই আলোচিত একটি বিষয়। প্রতিদিনই বিস্ময়কর সব ঘটনা ঘটছিল আর ইন্টারনেট ছিল তার ভিত্তি। তবে পরিবর্তনের এই আন্দোলনে বাংলাদেশ ছিল তলানিতে। তখনও ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির বিশাল ঢেউ ততটা লাগেনি এ দেশের মানুষের মনে। ভাবলাম, বাংলাদেশ এ অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে থাকবে কেন! এ ভাবনা থেকেই বিডিজবসের যাত্রা। ভেবে দেখলাম, তরুণদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জরুরি তথ্য সহায়তা। সেটি যদি হয় চাকরির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, তবে তো কথাই নেই। আমাদের প্রচুরসংখ্যক পরিশ্রমী তরুণ রয়েছে। তাদের মেধাও রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সঠিক যোগ্যতা না থাকায় তারা প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। আমি তরুণদের তথ্যে ও যোগ্যতায় দক্ষ করে তোলার জন্য এ খাতেই কাজ শুরু করলাম। বিডিজবস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রশিক্ষণে তরুণরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি খুঁজে নিতে পারবে। আর এ কাজে সহায়তা করতে পাশে পেয়ে গেলাম কিছু উদ্যমী বন্ধুকে।
সকালের খবর : গতানুগতিক চাকরির পরিবর্তে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কোন বিষয়গুলো আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে?
ফাহিম মাশরুর : আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। সবসময় তাই করতে চেয়েছি, যা অন্যদের থেকে আলাদা। সে ক্ষেত্রে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানোর ইচ্ছা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করেছে। কেউ সেটি করছে রাজনীতির মাধ্যমে, কেউ সামাজিক কাজের মাধ্যমে আবার কেউবা চিকিত্সার মাধ্যমে। আমি ইতিবাচক কিছু করতে চাইলাম তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। যেমন-সাধারণ মানুষের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সহজতর করা এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সেটিকে কাজে লাগানো। দেখুন, ঢাবির আইবিএ থেকে এমবিএ করে চাকরি পাওয়া ঠিক বিশেষ কিছু নয়। তবে আমি সবসময় অর্থপূর্ণ ও দেশের প্রয়োজনে বিশেষ কিছু করার তাগিদ অনুভব করেছি। উদ্যোক্তা হিসেবে আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন হচ্ছে, আপনি এ ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো ক্ষেত্রের চেয়ে সমাজে অধিক গুরুত্ব ও মূল্য যোগ করতে পারবেন।
সকালের খবর : স্বপ্নের বিডিজবসের শুরুর দিনগুলো কেমন ছিল? নিশ্চয়ই অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরুতে হয়েছে?
ফাহিম মাশরুর : আগেই বলেছি, আমরা বিডিজবস প্রতিষ্ঠা করেছিলাম বাংলাদেশি তরুণদের চাকরির তথ্য সরবরাহ করতে। আর আমার ঘরের ড্রইংরুম থেকেই এ যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরুতে আমরা দু’তিনজন ছিলাম। তখন কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছি। হাতে কোনো টাকা নেই। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তিনটি কম্পিউটার ধার করে শুরু করলাম বিডিজবসের যাত্রা। তবে মূল পুঁজি ছিল অফুরন্ত সময়। গতানুগতিক চাকরি বা ব্যবসা না করে আমি আমার সবচেয়ে মূল্যবান সময় ব্যয় করেছি এ কাজের জন্য। শুরুতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের চাকরির বিজ্ঞাপন দিত না। আমরাই পত্রিকা থেকে তাদের বিজ্ঞপ্তিগুলো সংগ্রহ করে বিনামূল্যে আপলোড করে দিতাম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রচারণা চালাতাম। যদি প্রথম কিছু দিনের প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন, তবে বলতে হবে প্রথম কয়েক বছরের প্রতিবন্ধকতা। কেননা প্রথম দু’তিন বছর আমরা কেবল সমস্যা জয় করেই এগিয়েছি। অবশ্য প্রথম দিন থেকেই আমরা জানতাম, আমাদের লম্বা পথ পারি দিতে হবে। সে সঙ্গে এটিও জানতাম সফলতা আসবেই। ফলে কখনও হতাশা কাজ করেনি। বলতে পারেন ধৈর্য ধরে কাজ করে যাওয়ার মানসিক একটা প্রস্তুতি ছিল।
সকালের খবর : অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, এমন সাফল্যের মূলমন্ত্র কী?
ফাহিম মাশরুর : চিন্তার অভিনবত্ব, প্রচুর ধৈর্য এবং ‘জয় করতেই হবে’-এমন মানসিকতাই মূলত আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। এ সময়ের অধিকাংশ উদ্যোক্তারই প্রধান সমস্যা, তারা রাতারাতি বড় হতে চায়। এ কথা মনে রাখা জরুরি যে, সাফল্যের কোনো ‘শটকার্ট’ রাস্তা নেই।
অন্যদিকে বিডিজবসের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমরা শুরু থেকেই তথ্যের গুণগত মান সম্পর্কে সচেতন ছিলাম। আমরা জানতাম, ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে কেউ আমাদের সাইটে আসবে না। আমরা ভিজিটরদেরও ক্লায়েন্ট মনে করি। কেননা তারা মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমাদের সাইট ভিজিট করেন। ফলে আমাদের সর্বাধিক গুরুত্ব ছিল ভিজিটরদের চাহিদা পূরণ ও সেবার মান বাড়ানোর ওপর। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখায় এখন প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার ভিজিটর বিডিজবস ভিজিট করেন।
সকালের খবর : বিডিজবসের ধারাবাহিকতায় এ ঘরানার আরও কিছু সাইট তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়েছে প্রতিযোগিতার বাজারও। এক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে আপনাদের ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা কী?
ফাহিম মাশরুর : নতুন নতুন জব সাইট তৈরি হওয়ার এ বিষয়টিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। বাংলাদেশে এ ধারা তৈরি হওয়াও আনন্দের। তবে অধিকাংশ সাইটই বিডিজবসকে অনুসরণ করতে গিয়ে নিজস্বতা হারিয়েছে। অভিনবত্ব ছিল না বলে অনেকেই কিন্তু টিকে থাকতে পারেনি। হ্যাঁ, আমরাও বিদেশি সাইটগুলোকে অনুসরণ করেছি, তবে তা বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে ইমপ্রোভাইজ করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা এখন জোর দিয়েছি বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের ওপর। আমরা বিশ্বাস করি, বিষয়ভিত্তিক কর্মদক্ষতা গড়ে উঠলে চাকরির বাজারে কাউকে বসে থাকতে হবে না। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রতিষ্ঠানই এখন আমাদের এক্সপার্টদের সাহায্য নিচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে দক্ষ যুবসমাজ গঠনে বিষয়ভিত্তক প্রশিক্ষণ প্রদান করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। এছাড়াও ‘আজকের ডিল ডটকম’ নামে আমরা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। আগামী দিনে অতি দ্রুত মানুষ ই-কমার্স ও শপিংয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। সে লক্ষ্যে আমাদের সাইটে হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ভ্রমণ, ইন্টারনেট সেবা, কম্পিউটার ল্যাপটপ, ফ্যাশন সামগ্রীসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ আকর্ষণীয় অফার ও ডিল প্রতিনিয়ত সংযোজিত করা হয়। ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর আকর্ষণীয় সব অফারের তথ্য পাওয়া যায়। ক্রেতারা নিয়মিত এই সাইটের মাধ্যমে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তাদের চাহিদামাফিক পণ্যের ওপর বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার বা ডিসকাউন্টের তথ্য পাচ্ছেন এবং খুব সহজেই হ্রাসকৃত মূল্যে সেসব পণ্য ক্রয় এবং সেবা গ্রহণ করতেও পারছেন।
সকালের খবর : তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহের সুযোগে অনেকেই কিন্তু ইন্টারনেটকে প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। আউটসোর্সিংয়ের নামে দেশে চলছে এমএলএম প্রতারণাও। এ বিষয়ে আপনার পরামর্শ কী?
ফাহিম মাশরুর : আউটসোর্সিং বলতে ক্লিক করে টাকা আয় করাকে বোঝায় না। আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং একটি অমিত সম্ভাবনার নাম। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে বিশ্বের সব আউটসোর্সিং সাইটের সেরা দশের তালিকায় বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের নাম রয়েছে। ফলে ওয়েব প্রোগ্রামিং, ডিজাইনিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ওয়েব অ্যাপলিকেশন তৈরিসহ আউটসোর্সিংয়ের নানাবিধ কাজ রয়েছে। চাইলে যে কেউ নিজ যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে অনলাইনে কাজ পেতে পারেন। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু লোক দেশের যুবসমাজকে প্রতি ক্লিকে আয়ের প্রলোভনে প্রতারিত করছে। প্রকৃতপক্ষে এই ক্লিকিংকে আউটসোর্সিং বলে না। আমার ধারণা, তারা ক্লিকিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে কোনো টাকা পান না। সরকার তদন্ত করে দেখলেই গোমড় ফাঁস হয়ে যাবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আউটসোর্সিং করতে শুরুতে কোনো সদস্য ফি দিতে হয় না। কিন্তু এই প্রতারক চক্র মানুষের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে এমএলএম পদ্ধতিতে একজনের টাকা অন্যজনকে দিয়ে ব্যবসা করছে। ফলে রাতারাতি বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে সটকে পড়ার আগেই সরকার ও যুবসমাজকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া রাত-দিন ক্লিক আর ক্লিক আমাদের সৃজনশীল উত্পাদন ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়। এ বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই।
সকালের খবর : সফটওয়্যার রফতানিতে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান কী? এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হচ্ছে না কেন?
ফাহিম মাশরুর : বর্তমানে সরকারি হিসাবে দেশে সফরওয়্যার রফতানি করে আয়ের পরিমাণ ৫০-৬০ মিলিয়ন ডলার। তবে আমাদের হিসাবে সেটি ১০০ মিলিয়নেরও ওপরে। বাংলাদেশ ব্যাংক আউটসোর্সিংসহ বেশ কিছু খাত থেকে অর্জিত অর্থকে তাদের রেকর্ডে তুলছে না। আশা করছি চলতি বছর পে-পাল বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করলে সফটওয়্যার খাতে অর্জিত অর্থের সঠিক পরিমাণ জানা যাবে। এছাড়া এবছর প্রথম ৬ মাসে রফতানি গ্রোথ প্রায় ৮০ শতাংশ। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
সকালের খবর : দীর্ঘ এক যুগের পথচলায় আপনার অভিজ্ঞতা ও নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?
ফাহিম মাশরুর : সত্যিই এটি ছিল কঠিন এক পথচলা। রাতারাতি বড় হওয়ার পরিকল্পনা আমার কখনোই ছিল না। আর এ স্বপ্ন স্থায়ীও হয় না। কিছু লোক হয়তো এই শটকার্ট রাস্তায় বড় হয়ে ওঠে, তবে সুদূরপ্রসারী ফলাফল তাদের কখনই ভালো হয় না। অন্যদিকে জীবনে ব্যর্থতা ঠেকাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে-সততা ও একনিষ্ঠতা। যারা বলেন, বাংলাদেশে সত্ভাবে কিছু করা যায় না, আমি তাদের বিপক্ষে। অভিনবত্ব ও যোগ্যতা থাকলে দেশেই ভালো কিছু করা সম্ভব। তবে এ কথা সত্যি, বাংলাদেশে তরুণ উদ্যোক্তাদের খুব একটা উত্সাহ প্রদান করা হয় না। এমনকি পরিবারও তাদের সন্তানদের গতানুগতিক চাকরির বাইরে কিছু করতে দিতে চায় না। এমন অবস্থায় তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ, কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা, ধৈর্য, সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা ধরা দেবেই।
[তথ্যসূত্র : দৈনিক সকালের খবর]
No comments:
Post a Comment